সাংবাদিক হোসাইন জাকিরের দাফন সম্পন্ন
জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
সাংবাদিক হোসাইন জাকিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার দুপুর ২ টায় তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মরহুম ডা. আব্দুল হাফিজের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে শনিবার রাত ৯ টায় তার প্রথম জানাজা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত হয়।
প্রয়াত জাকিরের ছোট ভাই রবিউল হোসাইন জানান, শনিবার রাতে ডিআরইউতে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্যেশে রওয়ানা দেওয়া হয়। রোববার সকাল ৭ টায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে।
২০১৪ সালের অক্টোবরে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে সাংবাদিক হোসাইন জাকির রাজধানীর মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যলয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়।
হোসাইন জাকিরের ছোট ভাই রবিউল ইসলাম জানান, ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠানোর পর বেশ কয়েক মাস থেকেই ডেল্টা হাসপালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জাকির।
গত সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি মারা যান। দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং কন্যা নিলয় (১৪), ছেলে আকাশ (১১) ও দেড়বছরের শিশুপুত্র স্বপ্নকে রেখে গেছেন।
চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করা হোসাইন জাকির প্রায় ১৮ বছর সক্রিয় ছিলেন এ পেশায়। দৈনিক মানবজমিন হয়ে দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক যুগান্তরে সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘদিন। যুগান্তরে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের একপর্যায়ে যুক্ত হন আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে। সেখানে দায়িত্ব নেন প্রধান প্রতিবেদকের। সর্বশেষ তিনি প্রকাশিতব্য দৈনিক আজকের পত্রিকায়ও প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্বে ছিলেন।
পেশাগত জীবনে সেরা প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ এবং ২০১১ সালে ইউনিসেফ পুরস্কার পান হোসাইন জাকির। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স শেষে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিক্ষণ /এডি/মারুফ